উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক
আঁধার গগনে খুঁজতেছিলাম বারেবারে যদি পাই কোন জ্যোতিষ্ক। যা দেবে আমার, আলো করে মস্তিষ্ক। পেলাম! এক মহাজাগতিক পিন্ড, নাহি সূর্য, নাহি চন্দ্র। তিনি এক উজ্জ্বলতর জ্যোতিষ্ক! তাহারে পেলাম আমার আরাধনায় উপস্থিত, একাত্মা হয়ে বসলেন আমার পাশে, তৈরি করে দিতে লাগলেন একের পর এক পূজার ডালি। তুলে দিলেন আমার হাতে; ইষ্টের তরে 'গীতাঞ্জলি'। তাহারে পেলাম আমার প্রতিবাদে, ছুটে এসে কেড়ে নিলেন আমার হাত থেকে তলোয়ার। একটা কলম দিয়ে বোঝালেন, এটার জোর বেশি, ঠান্ডা করতে পারে কয়েকশো খানা শ্বেত বিদেশী পেশি। তাহারে পেলাম আমার ভালোবাসায়, ছিলাম ভ্রান্ত চোখে দাঁড়িয়ে, ভ্রান্ত এক সারে। তাহার দেখানো পথে নেমে, খুঁজেছিনু যখন আমার বিদেশিনীকে, আমার সিন্ধু নদীর পাড়ে। সে ছিল দাঁড়িয়ে "আমার গানের ওপারে"। দিনের শেষে আমি দাঁড়িয়ে যখন, দেখছি ওই দূরে সূর্য দিলো ডুব। এ বড় অসীম সময়, আধার ভীষণ খুব; তাহারে পেলাম জ্যোতিষ্কের ন্যায়। নিয়ে এলেন 'আলোকের ঝর্ণাধারা' আমার আঁধার কোনে, এসে উজাড় করে, এইবারও দিলেন আলো ছড়িয়ে। না হয় আমিও হলাম এক জ্যোতিষ্ক, হলাম আমিও আলোকময়। হতে নাহি পারি তাহার সম, তবে হব আমি তাহার উপগ্রহ!